প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্দোলনকারীরা মন্ত্রীদের বাসভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করার পর এ পদক্ষেপ নেয় সেনারা। তবে তাদের কোথায় নেয়া হচ্ছে, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
এছাড়া পার্লামেন্ট ভবন রক্ষায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সামরিক ঘাঁটিতে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।
এদিকে, জেন-জিদের আন্দোলন ও বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। টানা দুইদিনের বিক্ষোভের মুখে পদ থেকে সরে গেলেন তিনি। পদত্যাগপত্রে ওলি লিখেছেন, সাংবিধানিক পথে সংকটের সমাধানের পথ তৈরির জন্য তিনি পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘রাজধানীসহ সারা দেশে সোমবারের বিক্ষোভ ও পরবর্তী ঘটনাগুলো আমাকে দুঃখিত করেছে। কোনো ধরনের সহিংসতা দেশের স্বার্থে ভালো নয়। শান্তিপূর্ণ ও আলোচনাভিত্তিক সমাধানই এখন প্রয়োজন।’
এর আগে, দেশটির সেনাবাহিনী প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানায়। এদিকে গুরুতর পরিস্থিতি এবং নিরাপত্তাজনিত শঙ্কার কারণে নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। ফ্লাইট বাতিলের ঘটনায় যাত্রীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ।
গতকাল (সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর) নেপালের সংসদ ভবনে প্রবেশের সময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভরত তরুণদের সংঘর্ষ হয়। এতে ২০ জন নিহত এবং শতাধিকের বেশি আহত হয়। এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর দেয়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় দেশটির সরকার।