নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির পদত্যাগের পরও দেশের সহিংস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে সেনারা রাজধানী কাঠমান্ডুসহ বিভিন্ন কৌশলগত স্থানে নিজেদের অবস্থান সুসংহত করে। এর আগে দিনভর চলা তীব্র উত্তেজনার মধ্যে বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্ট ভবন, সুপ্রিম কোর্ট, এবং শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। এই সহিংসতায় অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
৭৩ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রী অলি প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাউডেলের কাছে তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দেন। এতে তিনি ‘অসাধারণ পরিস্থিতির’ কারণে ক্ষমতা ছাড়ার কথা উল্লেখ করেন।
মূলত ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। যদিও পরে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়, তবুও আন্দোলন সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং ব্যর্থতার অভিযোগে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেয়, “ছাত্রদের হত্যা করো না” এবং “দুর্নীতিবাজ নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নাও”।
In Nepal, citizens capture communist politicians and throw them into the river. pic.twitter.com/3eKGOh1j7h
— RadioGenoa (@RadioGenoa) September 9, 2025
এই সহিংসতায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা এবং তার স্ত্রী বিক্ষোভকারীদের হামলায় আহত হন। পরে সেনাবাহিনী গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঝালনাথ খানালের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ফলে তার স্ত্রী রাজ্যলক্ষ্মী চিত্রকর দগ্ধ হয়ে মারা যান।
সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেল জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও এক বিবৃতিতে আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে সংকট সমাধানের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
বর্তমানে নেপালের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকার পরও এই সহিংস পরিস্থিতি যেন আরও খারাপ না হয়।
instagram is flooded with the videos of Nepal protest pic.twitter.com/nDs5Jnf74l
— Gabbar (@Gabbar0099) September 9, 2025