শিরোনামঃ
চার্লি কার্কের স্ত্রীর আবেগঘন বার্তা: ‘আমি তোমার আদর্শকে কখনো মরতে দেব না’ আবু ধাবির নতুন ওয়েভ পুলে বিলাসিতার দৌড় : প্রত্যেক ঢেউতে $১৫০ পাল্টা শুল্ক নিয়ে আলোচনা: আজ ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল এক নজরে “লালনকন্যা” ফরিদা পারভীনের বর্ণাঢ্য জীবন ফরিদা পারভীনের মৃত্যুতে সংস্কৃতি উপদেষ্টার শোক বরেণ্য লোকসংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় রাজনীতি অবসানের অঙ্গীকার নবনির্বাচিত জাকসু ভিপির সিনেমা দেখে প্রভাবিত হয়ে বাবাকে হত্যা, ছেলে গ্রেফতার ভিপি নুরের ওপর হামলা: সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাশেদ খান গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা বিএনপির লক্ষ্য: সালাহউদ্দিন আহমদ
রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন

প্রথমবারের মতো রাশিয়া-চীন-মঙ্গোলিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৭ বার
প্রকাশ: বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

চীন, রাশিয়া ও মঙ্গোলিয়া প্রথমবারের মতো যৌথ সীমান্ত সামরিক মহড়া আয়োজন করছে। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানায় চীনের সেনাবাহিনী। এই ত্রিপাক্ষিক মহড়ার মূল লক্ষ্য হলো এই তিন দেশের মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা বৃদ্ধি করা এবং একটি সমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা।

মহড়ার পটভূমি ও উদ্দেশ্য

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিজেদের সামরিক প্রভাব বাড়াতে রাশিয়া ও চীন উভয়েই সচেষ্ট। এই প্রেক্ষাপটে, মঙ্গোলিয়াকে সঙ্গে নিয়ে এই যৌথ মহড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হলো:

১. সমন্বিত নিরাপত্তা: এই দেশগুলোর সামরিক সক্ষমতা একীভূত করে একটি শক্তিশালী আঞ্চলিক নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা। ২. সন্ত্রাসবাদ দমন: যৌথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদ এবং অন্যান্য হুমকি মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করা। ৩. প্রযুক্তিগত বিনিময়: সামরিক প্রযুক্তির আদান-প্রদান এবং রণকৌশলগত সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।

এই মহড়াটিকে পশ্চিমা দেশগুলো, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের জন্য একটি স্পষ্ট বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর মাধ্যমে রাশিয়া ও চীন এ অঞ্চলে তাদের সামরিক উপস্থিতি এবং প্রভাবকে আরও দৃঢ় করতে চাইছে।

মহড়ার স্থান ও কার্যক্রম

মহড়াটি রাশিয়ার দক্ষিণ সাইবেরিয়া অঞ্চলে অবস্থিত উডে আর্মি ট্রেনিং গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে তিন দেশের কয়েক হাজার সৈন্য, বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার এবং সামরিক যান অংশ নিচ্ছে। মহড়ার কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে:

  • যৌথভাবে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনা
  • যুদ্ধক্ষেত্রে আধুনিক সামরিক সরঞ্জামের ব্যবহার
  • প্রতিরক্ষামূলক এবং আক্রমণাত্মক কৌশল অনুশীলন

এই মহড়াটি কেবল সামরিক সক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য নয়, বরং এটি একটি নতুন ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণের সূচনাও বটে, যেখানে এই তিন দেশ নিজেদের মধ্যে আরও নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলছে।


এ জাতীয় আরো খবর...