ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর তরুণী সৈনিক জেসলি বেক (১৯)–এর আত্মহত্যা একটি মর্মান্তিক ও চাঞ্চল্যকর ঘটনা। সাম্প্রতিক আদালতে এক প্রাক্তন সার্জেন্ট মেজর স্বীকার করেছেন, তিনি বেককে যৌন হয়রানি করেছিলেন। অভিযোগ তোলার পরও যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় মানসিক চাপ ও হতাশা ক্রমে এতটাই বেড়ে যায় যে শেষ পর্যন্ত তিনি নিজের জীবন শেষ করার পথ বেছে নেন।
প্রাক্তন সার্জেন্ট মেজর মাইকেল ওয়েবার (Michael Webber) স্বীকার করেছেন যে তিনি ২০২১-এর জুলাই মাসে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর গানের জেনস্লি বেক (Jaysley Beck) নামে এক ১৯ বছরের কনস্টেবল সোলজারকে যৌন হয়রানি করেছিলেন। গানের ট্রেনিং এক্সারসাইজ চলাকালীন সময়ে তিনি তাকে ধাক্কা দিয়ে ধরেছিলেন এবং চুমু নিতে চেয়েছিলেন। এটি ঘটেছিল থরনি আইল্যান্ডে, Hampshire-র একটি প্রশিক্ষণ স্টেশনে।
বেক এই ঘটনার কিছুক্ষণ পরই তাঁর ক্যাপ্টেনকে অভিযোগ করেন, কিন্তু অভিযোগের বিষয়টি উপরের কর্তৃপক্ষ পর্যন্ত সঠিকভাবে পৌঁছায়নি এবং সেনাবাহিনী সেই অভিযোগ পুলিশে প্রেরণ করতে ব্যর্থ হয়।
পরবর্তী সময়ে, এমনকি অভিযোগ করার পরও, বেককে একটি সহকর্মী সেনা সদস্য (Bombardier Ryan Mason) থেকে হাজার-রেক বার বার মেসেজ ও হয়রানি সহ্য করতে হয়।
দুর্ভাগ্যবশত, এই ঘটনা ঘটে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে; বেক নিজের ঘরে Larkhill ক্যাম্পে আত্মহত্যা করেন। একটি Inquest (মৃত্যু পরবর্তী তদন্ত) তার মৃত্যুর কারণ হিসাবে উল্লেখ করেছে যে সেনাবাহিনীর “চেইন অফ কমান্ড”—অধিকারবলে থাকা কর্তৃপক্ষ—যেভাবে কাজ করেছে বা করেনি, তা “মানবাধিকার আইন” ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তব্যের ক্ষেত্রে ব্যর্থতা ছিল, যা তার মানসিক অবস্থাকে আরও কঠোর করে তুলেছিল এবং অবশেষে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছিল।
বেকের পরিবার বলছেন, যদি অভিযোগটি তৎক্ষণাৎ পুলিশে পাঠানো হতো, হয়তো তার জীবন রক্ষা করা যেত।
সেনাবাহিনী ইতিমধ্যেই বলেছে যে তারা বেককে সঠিকভাবে সাপোর্ট করতে পারেনি এবং এই ঘটনার পর বেশ কিছু নীতি ও প্রক্রিয়াগত পরিবর্তন করা হয়েছে, যেন যৌন-হয়রানি বা অপ্রত্যাশিত আচরণের ক্ষেত্রে দ্রুত ও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
এই ঘটনার ফলে, সেনাবাহিনীর মধ্যে “শূন্য সহনশীলতা” (zero-tolerance) নীতি ব্যাপক আলোচনায় এসেছে এবং অভিযোগ করার পথে ও প্রতিবাদের ব্যবস্থায় আরও স্বচ্ছতা ও দায়িত্ববোধ বাড়ানোর দাবি উঠেছে।
প্রাক্তন সার্জেন্ট মেজর Michael Webber স্বীকার করেছেন যে তিনি Jaysley Beck-কে যৌন হয়রানি করেছিলেন। Beck অভিযোগ করেছেন, সহকর্মীদের হয়রানি সহ্য করেছেন, এবং অনেক চেষ্টা করার পরেও যথেষ্ট সাপোর্ট পাননি। Inquest বলেছে সেনাবাহিনীর কর্তব্য পালনে ব্যর্থতা তার মৃত্যুতে “মিনিমালি নয়, বিপুলভাবে অবদান রাখে।” Webber এখন দণ্ডিত হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। এই ঘটনা নারীর সুরক্ষা, মনসিক স্বাস্থ্যের বিষয় এবং সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ সংস্কার নিয়ে একটি তীব্র সামাজিক ও নৈতিক আলোচনা উস্কে দিয়েছে।
এই খোলামেলা ও আবেগমোদী ভাষণে এরিকা কার্ক জানিয়ে দিয়েছেন, চার্লি কার্কের মৃত্যু তাঁর আন্দোলন শেষ করবে না। তাঁর legacy — কাজ, বিশ্বাস, আদর্শ — এখানেই থেমে থাকবে না, বরং আরও বড়ভাবে এগিয়ে যাবে। তাঁর দৃঢ় প্রতিজ্ঞা: মানুষের কণ্ঠ চলে আসবে, সংস্থার কাজ চলবে, কর্মসূচি হবে, এবং চার্লি কার্ক স্মরণীয় হয়ে থাকবে যথেষ্ট শক্তভাবে।