অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সুখ রঞ্জন চক্রবর্তী নিয়মিত ভারতে যাতায়াত করেন। সেখানেই তার স্ত্রী ও বড় ছেলে থাকেন। ভারতে জমিজমা ও ফ্ল্যাটবাড়িও কিনেছেন তিনি। ছোট ছেলে বাকপ্রতিবন্ধী হওয়ায় তাকে নিয়ে পাবনায় থাকেন এবং এ জন্য ভাতা গ্রহণ করেন। মাঝেমধ্যে ১৫ দিন থেকে এক মাস ছুটি নিয়ে পরিবারসহ ভারতে চলে যান।
আরও জানা গেছে, ভারতের জাতীয় পরিচয়পত্র ও আধার কার্ড অনুযায়ী, সুখ রঞ্জন চক্রবর্তী পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দক্ষিণ ব্যারাকপুর শহরের দমদমের সূর্যসেন পল্লি এলাকার নির্মল কুমারের ছেলে। তার ভারতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ০০০০/০০৮০২/৭৬৩৯৭ এবং আধার কার্ড নম্বর ৪০৫০২২৩৪৩৩৫১। তবে তিনি পাবনা শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডেরও বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি তিন দিনের ছুটিতে আছেন।
এছাড়া শ্বশুর দীপক কুমার রায়ের নামে লিজ নেয়া সরকারি সম্পত্তি নিজের নামে নেয়ার চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে শ্যালক সুমন কুমার রায় বলেন, ‘আমার বাবা সরকারি জমি লিজ নিয়ে বসবাস করতেন। বাবা-মা মারা যাওয়ার পর কাউকে না জানিয়ে আমার বোনকে একমাত্র উত্তরসূরি বানিয়ে আবেদন করেছে। এখন আমার বাড়িতে বসবাস করেও আমাকে বের করে দিতে চাইছে।’
তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে সুখ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ‘এসব মিথ্যা অভিযোগ। কাগজপত্র বানানো যায়। আমার স্ত্রী-সন্তান শ্যালকের সঙ্গে ঝামেলা করে ভারতে চলে গেছে, আমার সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ নেই। তদন্ত হলে সব প্রমাণ দেখাতে পারব। আসলে জমিজমা নিয়ে বিরোধের কারণেই এ ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’

সুখ রঞ্জন ও তার পরিবারের ভারতীয় নাগরিকত্বের বিভিন্ন ডকুমেন্টস |ছবি: এখন টিভি
অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুল কবীর বলেন, ‘আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে এবং কাগজপত্রও পেয়েছি। এরইমধ্যে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শিগগিরই প্রতিবেদন হাতে আসবে এবং প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’







