ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ জানিয়েছে, যদি ইসরায়েল আগামী ইউরোভিশন গান প্রতিযোগিতায় (২০২৬) অংশ নিতে পারে, তবে তারা সেই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে না। ভোগানো হচ্ছে যুদ্ধবিরোধী হিউম্যানিটারিয়ান পরিস্থিতি ও গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের কারণে।
স্পেন সরকারের নিয়ন্ত্রিত RTVE সম্প্রচারসংস্থা বোর্ডে একটি বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়, তারা ইউরোভিশন থেকে সরে যাবে যদি ইসরায়েল অংশগ্রহণের জন্য অনুমোদন পায়। স্পেন “বিগ ফাইভ” (Eurovision-এর বড় পাঁচটি অর্থদাতা দেশ) গুলোর মধ্যে প্রথম যারা এই ঘোষণা করলো।
এরআগে আইরিশ সম্প্রচারকারী RTÉ, নেদারল্যান্ডসের AVROTROS, স্লোভেনিয়া সহ কয়েকটি দেশও একই রকম হুশিয়ারি দিয়েছে। তারা বলছে, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা হলেও মানবিক মূল্যবোধ ও ন্যায়ের দাবি এ ক্ষেত্রে উপেক্ষা করা যাবে না।
European Broadcasting Union (EBU), যা ইউরোভিশন আয়োজন করে, ইতিমধ্যে সদস্য সম্প্রচারকারীদের সঙ্গে পরামর্শ শুরু করেছে এবং লক্ষ্য করা হচ্ছে যে অংশগ্রহণ বা অংশগ্রহণ না করার বিষয়টি ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই চূড়ান্ত করা হবে।
ইউরোভিশন ২০২৬ এর ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ভিয়েনায়, আগামী মে মাসে।
ইউরোভিশন ২০২৬ প্রতিযোগিতায় ইসরায়েল অংশগ্রহণ করলে কিছু বড় দেশ নিশ্চয়ই সেই সংগঠনের বয়কটের পথে যেতে পারে — যা কেবল সাংস্কৃতিক নয়, রাজনৈতিক, নৈতিক ও মানবিক প্রশ্নগুলোকে সামনে নিয়ে আসছে। আগামি ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রতিযোগী এবং EBU-র কাছে গুরুত্বপূর্ণ হবে।