ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (EU) ইতিমধ্যে একটি নতুন কৌশল গ্রহণ করেছে, যার উদ্দেশ্য হলো ভারতকে রাশিয়ার রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রভাবে কম রাখতে পারা। এই প্রচেষ্টা এসেছে এমন এক সময়ে, যখন ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী ঐক্য ও সহযোগিতা বিদেশনীতি, বাণিজ্য ও সামরিক ক্ষেত্রে দৃঢ়ভাবে তৈরি রয়েছে।
ইউরোপের কর্মকর্তারা বলছেন, তারা ভারতকে বিকল্প অফার দিচ্ছে — বেশি অর্থনৈতিক অংশীদারি, প্রযুক্তি এবং বিনিয়োগ সহযোগিতা, পাশাপাশি কেল্লার মতো নির্দিষ্ট প্রকল্পে সহায়তা যেগুলো ভারত-EU উভয়ের স্বার্থে হবে। এ উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় পারস্পরিক কাজ, সবুজ শক্তির উন্নয়ন, উদ্ভাবন ও ডিজিট্যাল প্রযুক্তিতে সহযোগিতা, এবং বাণিজ্য চুক্তিগুলি আরও সম্প্রসারণ করার প্রস্তাব।
এই কৌশল শুধু অর্থনৈতিক নয়; কূটনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংযোগও বৃদ্ধি পেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, উচ্চ পর্যায়ের সরকারী পরিদর্শন, বিদ্যুৎ, বিজ্ঞান ও গবেষণায় নতুন বিনিয়োগ, এবং শিক্ষাবিদ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনিময় কর্মসূচি।
ভারতের দৃষ্টিকোণ থেকে, দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক রাশিয়ার সঙ্গে রয়েছে, বিশেষ করে নিরাপত্তা ও সামরিক সরবরাহ চাহিদায়। তবে ভারতEU ঐতিহ্যগতভাবে বাণিজ্য ও প্রযুক্তিতে গভীর সহযোগিতার সুযোগের বিষয় বিবেচনায় নিয়েছে। ভারতের বাইরের নীতি – “মাল্টি-অলিগেন্সি” ও “স্ট্র্যাটেজিক অটোর্মি” ধারণাগুলোর প্রেক্ষাপটে, ইউরোপের এই নতুন প্রস্তাব তার জন্য একটি আকর্ষক বিকল্প হতে পারে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পদক্ষেপ শুধুমাত্র ভারতের পছন্দ পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে নয়, বরং একটি বৃহত্তর কূটনৈতিক পরিবর্তন নির্দেশ করছে, যেখানে দেশগুলো পারস্পরিক স্বার্থ ও নৈতিক প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে তাদের সামরিক, বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক দিশা নির্ধারণ করবে।