ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার এলাকার গাজী-কালু চম্পাবতীর মাজারের সভাপতিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ওরশ শরীফের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকালে অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগে কমিটির উপদেষ্টা, সদস্যসহ ২৮ জন স্বাক্ষর করেছেন।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে- প্রতি বছরের ফাল্গুন মাসের শেষ বৃহস্পতিবার ও ভাদ্র মাসের শেষ বৃহস্পতিবার গাজী-কালু চম্পাবতীর মাজারে ওরশ হয়। যেখানে সারাদেশ থেকে ভক্তরা আসেন এবং মাজারের উন্নয়নের জন্য অর্থ দান করেন।
চলতি বছর দুটি ওরশে আনুমানিক ১৫ লাখ টাকা আয় হয়েছে। এ টাকার বিষয়ে হিসাব চাইলে সভাপতি, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও ক্যাশিয়ার কর্ণপাত করছেন না। গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিকে পাশ কাটিয়ে নিজেদের মতো করে মাজারের টাকা লুটপাট করছেন।
গাজী-কালু চম্পাবতীর মাজারের সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, যে অভিযোগ করেছে সেটি একদমই মিথ্যা। হিসাবের সবকিছু আমার কাছে আছে। আমি সব সময় হিসাব দিতে প্রস্তুত। আমি শুধু হিসাবের খাতা দেখি, টাকা খরচ করেন কমিটির সিনিয়র সদস্যরা।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেদারুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।