শরৎকাল পার করে হেমন্তের শেষে প্রকৃতিতে ধীরে ধীরে জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বেশ কয়েকটি জেলায় রাতের তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে। ভোরবেলা হালকা কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ, দিনেও ঠান্ডা হাওয়ার ছোঁয়া পাওয়া যাচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরের শেষ দিক থেকেই শীত মৌসুমের আনুষ্ঠানিক সূচনা হলেও এ বছর আগেভাগেই ঠান্ডার অনুভূতি পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে পঞ্চগড়, দিনাজপুর, কুড়িগ্রামসহ উত্তরাঞ্চলে রাতের তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। রাজধানী ঢাকাতেও ভোর ও রাতে হালকা শীতের আবহ তৈরি হয়েছে।
ভোর থেকে হালকা কুয়াশার চাদরে মোড়া থাকছে গ্রামের পথঘাট ও ফসলি জমি। মাঠের ঘাসে কিংবা গাছের পাতায় জমছে শিশিরের বিন্দু। বিকেল নামলেই চারপাশে নেমে আসছে ম্লান আলোর আবছা কুয়াশা। এতে প্রকৃতিতে তৈরি হচ্ছে শীতের আবহ, যা মানুষকে জানান দিচ্ছে শীতের আগমন।
শীতকালীন কুয়াশার সৌন্দর্য একদিকে মনোমুগ্ধকর হলেও, এর প্রভাব পড়ছে পরিবহন চলাচলেও। রাতে এবং ভোরে কিছু এলাকায় দৃশ্যমানতা কমে আসায় সড়ক ও নৌপথে ঝুঁকি বাড়ছে। এ বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডাজনিত রোগ, সর্দি-কাশি ও হাঁপানি বাড়তে পারে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য বাড়তি যত্নের পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
সব মিলিয়ে বলা যায়, কুয়াশা, ঠান্ডা হাওয়া আর শীতে গা জড়িয়ে নেওয়া মানুষ—সবকিছুই জানিয়ে দিচ্ছে, শীত এখন দরজায় কড়া নাড়ছে।