গতরাতের সূর্যগ্রহণ ছিল এক মহাজাগতিক দৃশ্য, যা বিশ্বের বিশেষ কিছু অঞ্চলে দেখা গেল। বাংলাদেশ থেকে তবে তা প্রত্যক্ষ করা যায়নি। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সূত্রে জানা গেছে, এ বছর এটি শেষ সূর্যগ্রহণ।
সূচনা: রাত ১১টা ২৯ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে (বাংলাদেশ সময়)
সর্বোচ্চ গ্রহণবিন্দু: রাত ১টা ৪১ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডে
শেষ: ভোর ৩টা ৫৩ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে
মোট স্থায়িত্বকাল: প্রায় ৪ ঘণ্টা ২৪ মিনিট
নিউজিল্যান্ড, পূর্ব মেলানেশিয়া, দক্ষিণ পলিনেশিয়া ও পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকা অঞ্চলে এ গ্রহণ স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে গ্রহণটি দেখা যায়নি।
আইএসপিআর ও বিভিন্ন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানাচ্ছে যে, সূর্যগ্রহণের সময় সরাসরি সূর্যের দিকে খালি চোখে তাকানো বিপজ্জনক। অতিবেগুনি ও ইনফ্রারেড রশ্মি চোখের রেটিনা ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাই স্পেশাল সানগ্লাস বা প্রোটেক্টিভ গ্লাস ব্যবহার করেই গ্রহণের ভিডিও সম্প্রচার বা অনলাইন উৎস থেকে পর্যবেক্ষণ করা উচিত।
এটি সব মিলিয়ে ২০২৫ সালের শেষ সূর্যগ্রহণ।
এ ধরনের প্রাকৃতিক ঘটনা অনেকে ধর্মীয় বা জ্যোতিষবিশ্বাসের দৃষ্টিকোণ থেকেও গুরুত্ব দিয়ে থাকেন, বিশেষ করে গ্রহণের সময় কি সময় সুতিকাল বা অন্যান্য রীতি পালন করতে হবে— এসব বিষয়ে স্থানীয় ধর্মীয় ও জ্যোতিষ সংক্রান্ত গোষ্ঠীগুলো আগ্রহ দেখিয়ে থাকে।
বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সম্প্রচার ও অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ছিল যেখান থেকে গ্রহণের পুরো বা অংশবিশেষ দেখা যেত—বিশেষ করে যারা ওই অঞ্চলে বাস করেন বা পর্যবেক্ষণ সুবিধা রয়েছে।
গভীর অন্ধকার নয়, তবুও রাতের একটা বড় সময় সূর্যের আংশিক অভাব অনুভব করা গেল—বিশ্বের কিছু কোণায় প্রকৃতি আবারও তার অনবদ্য ছত্র ছায়া খেলে গেল। বাংলাদেশবাসীর পক্ষে সরাসরি নয়, তবু অনলাইন ও সংবাদ মাধ্যমের মাধ্যমে আমরা মহাজাগতিক ঐতিহ্য এবং দূরত্ব পেরিয়ে একটি পৃথিবীব্যাপী ঘটনাকে অনুভব করতে পারি।