বাংলাদেশকে ১১ রানে হারিয়ে এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি ২০২৫-এর ফাইনাল নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান। আগামী রবিবার ফাইনাল ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে দলটি। বৃহস্পতিবার দুবাইয়ে সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেটে ১৩৫ রান তোলে পাকিস্তান। জবাবে ৯ উইকেটে ১২৪ রান তুলতে সমর্থ হয় বাংলাদেশ। ১১ রানের জয় পায় পাকিস্তান।
১৩৬ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যাটিং ব্যর্থতার মুখে পড়ে বাংলাদেশ। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা টাইগারদের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। ২৫ বলের ইনিংসটি ২ ছক্কায় সাজান তিনি। এছাড়া সাইফ হাসান ১৮, নুরুল হাসান সোহান ১৬, রিশাদ হোসেন ১৬, শেখ মেহেদী হাসান ১১ ও তানজিম হাসান সাকিব ১০ রান করেন। বাকিদের কেউ ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের কোঠা।
বাংলাদেশের ইনিংসে ৪ ওভারে ১৭ রানের খরচায় ৩ উইকেট নেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। ৩ উইকেট নেন হারিস রউফও। ৪ ওভারে ৩৩ রান দেন তিনি। এছাড়া ২ উইকেট পান সায়েম আইয়ুব, এক উইকেট নেন মোহাম্মদ নওয়াজ।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তান দলীয় ৪৯ রানে ৫ উইকেট হারায়। শাহিবজাদা ফারহান ৪, সায়েম আইয়ুব ০, ফখর জামান ১৩, হুসাইন তালাত ৩ ও সালমান আগা ১৯ রানে আউট হন।
পাকিস্তান ষষ্ঠ উইকেটটি হারায় দলীয় ৭১ রানে। ১৩ বলে ২ ছক্কায় ১৯ রান তুলে আউট হন শাহীন শাহ আফ্রিদি। পাকিস্তানের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩১ রানের ইনিংস খেলেন মোহাম্মদ হারিস। ২৩ বলের অপরাজিত ইনিংসটি ২ চার ও ১ ছক্কায় সাজান তিনি। এছাড়া মোহাম্মদ নওয়াজ ১৫ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২৫ রান করেন। ফাহিম আশরাফ অপরাজিত থাকেন ৯ বলে ১ বাউন্ডারিতে ১৪ রান করে। ৩ রানে ক্রিজে টিকে ছিলেন হারিস রউফ।
পাকিস্তানের ইনিংসে ৪ ওভারে ২৮ রানের খরচায় ৩ উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। দুটি করে উইকেট পান শেখ মেহেদী হাসান ও রিশাদ হোসেন। একটি উইকেট পান মুস্তাফিজুর রহমান।
এনিয়ে ৬ষ্ঠ বারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠলো পাকিস্তান। টুর্নামেন্টটিতে দুই শিরোপা জয়ের কীর্তি রয়েছে গ্রীন ক্যাপদের।
এশিয়া কাপের ইতিহাসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাফল্য ফাইনাল। ২০১২, ২০১৬ ও ২০১৮ সাল— মোট তিনবার ফাইনাল খেললেও শিরোপা জেতা হয়নি টাইগারদের।
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান।