দেশের উত্তরাঞ্চলের তিন জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও নাটোর থেকে ফের দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারদের পর এবার খোদ মালিকরাই বাস বন্ধ করে দিয়েছে।
বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বজলুর রহমান রতন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা থেকে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তবে একতা ট্রান্সপোর্টের বাস ও লোকাল বাসগুলো চলছে। অন্য সব পরিবহনের বাস বন্ধ রয়েছে। এর আগে এ মাসেই দুই দফা বাস বন্ধ করেছিলেন চালক, হেলপার ও সুপারভাইজাররা। তাদের দাবি ছিল বেতন-ভাতা বৃদ্ধি।
মালিকপক্ষ জানায়, শ্রমিকদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। তবুও তারা অযৌক্তিক দাবি তুলছেন। এ কারণে মালিকরা নিজেরাই বাস বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন।
বজলুর রহমান রতন বলেন, শ্রমিকদের সঙ্গে মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় বৈঠক হয়। সেখানে বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়। বৈঠকে মালিক সমিতি ও শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পর বাস চলাচলও শুরু হয়।
কিন্তু এরপর শ্রমিকেরা দূরপাল্লার বাস যেখানে সেখানে থামিয়ে যাত্রী তুলতে চান। তারা খোরাকি ভাতার দাবিও করছেন। এতে ব্যবসা ব্যাহত হচ্ছে। এ নিয়ে নতুন করে বিরোধ দেখা দিয়েছে।
শ্রমিকরা বলেছে, তারা বাস চালাবে না। মালিকরাও বলেছেন, এভাবে বাস চালাতে চান না। তাই আপাতত বাস বন্ধ থাকবে।
শ্রমিকেরা এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে তিন জেলায় বাস বন্ধ করেছিলেন। মালিকদের আশ্বাসে দুই দিন পর তারা কাজে ফেরেন। কিন্তু বেতন-ভাতা না বাড়ানোয় সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে আবার কর্মবিরতি শুরু করেন। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত একতা ছাড়া সব বাস বন্ধ ছিল।
একদিন পর ফের বাস বন্ধ হয়ে গেল। এতে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও কক্সবাজারগামী যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।