রাজনৈতিক বোলচালে, দৃশ্যপটের আবডালে, স্বার্থ হাসিলে কোনো তুলকালাম কাণ্ড ঘটিয়ে ভিন্ন কিছু একটা ঘটানোর কৌশল দুনিয়া জোড়াই চলমান। আর সেখানে ডিম হলো একটা আইটেম। যতোনা খাওয়ার মেন্যু, তার ছেয়ে বেশি ছোঁড়ার ম্যানু। অবশ্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে ডিম, টমেটো ও পানির বোতল নিক্ষেপের ঘটনা নতুন নয়।
হাঁস বা মুরগির ডিম খাওয়ার টেবিলের একটি সাধারণ খাবার হলেও রাজনীতি ও প্রতিবাদের মঞ্চে প্রতীকী অস্ত্র হিসেবে এটি একটি অস্ত্র। ইতিহাসের পাতায় চোখ বুলিয়ে দেখা যায়, নানা সময় ভিন্ন ভিন্ন কারণে রাজনীতিবিদদের দিকে ক্ষোভ প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে মানুষ ডিম ছুড়ে মেরেছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনেও ডিম ছোড়ার প্রবণতা বেড়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের ২০১৫ সালের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ৬৩ খ্রিষ্টাব্দে রোমান গভর্নর ভেসপাসিয়ানকে শাস্তিমূলক নীতিতে ক্ষুব্ধ প্রজারা শালগম ছুড়ে মেরেছিল।
যদিও মধ্যযুগে ডিম প্রবেশ করে এ তালিকায়। তখন বন্দীদের প্রকাশ্যে একসঙ্গে বেঁধে ডিম ছুড়ে মারা ছিল নিয়মিত ঘটনা। এলিজাবেথীয় যুগে নাট্যমঞ্চে খারাপ অভিনয়ের প্রতিবাদে দর্শকেরা পচা ডিম ছুড়ত, যা আজকের রাজনৈতিক নাট্যমঞ্চে ব্যবহারের সঙ্গে খুব একটা বেমানান মনে হয় না। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনেও ডিম ছোড়ার প্রবণতা বেড়েছে। হাঁস বা মুরগির ডিমকে অনেকে রসিকতা করে ব্যাচেলর ফুড নামে ডাকে। অথচ পুষ্টিগুণে ভরপুর এ ডিমকে ছুড়ে মেরে পুষ্টিটি বরবাদ করা হয় অহরহ। হাঁস বা মুরগির ডিম খাওয়ার টেবিলের একটি সাধারণ খাবার হলেও রাজনীতি ও প্রতিবাদের মঞ্চে প্রতীকী অস্ত্র হিসেবে এটির বেশ পরিচিতি রয়েছে। ইতিহাসের পাতায় চোখ বুলিয়ে দেখা যায়, নানা সময় ভিন্ন ভিন্ন কারণে রাজনীতিবিদদের দিকে ক্ষোভ প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে মানুষ ডিম ছুড়ে মেরেছে। ডিম নিক্ষেপে মাথা ফাটার সম্ভবনা কম থাকে, সহজে ফেটে যায় এবং ঠাস করে ছোট্ট একটি শব্দ হয় ও রস বের হয়। যে ছুড়ে মারে সে আনন্দ পায়। যাকে ছুড়ে মারা হয় তিনি বিব্রতবোধ করেন। বিশেষ করে গত ৫ আগষ্টের পর থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনেও ডিম ছোড়ার প্রবনতা ব্যাপকভাবে লক্ষ্য করা যায়।
এরই ধারাবাহিকতায় ডিম মারার প্রচলন বাংলাদেশের আদালত চত্বর থেকে অতিসম্প্রতি সূদুর নিউইয়র্ক পর্যন্ত পৌঁছে গেছে এনসিপি নেতা আক্তার হোসেনকে মারার মধ্যে দিয়ে। ডিম্ব নিক্ষেপণ সংস্কৃতির অবসান চেয়েছেন জামায়াত নেতা ডা. আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। দেশের বাইরে নিউ ইয়র্কে এসে ওনার এই উপলব্ধি একটি ঘটনা। বাস্তবতা হলো এতো প্ল্যান করেও নিউইয়র্কে ডিম ঠেকানো গেলো না। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাকে ঘিরে প্রতি বছর আগস্ট-সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে বসে বাংলাদেশি সরকারের পক্ষে-বিপক্ষে দলীয়পনার হাটবাজার। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্য থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা নিউইয়র্কে জড়ো হন। প্রাক মহড়া হিসেবে জ্যাকসন হাইটসে সরকারের পক্ষে-বিপক্ষে মিছিল মিটিং, হাতাহাতি-মারামারি। কাটাকাটিও হয়? না, তা এখনো না হলেও ডিমকাণ্ড আছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ সেখানে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে নিজেদের দেশের সমস্যা নিয়ে হাজির হন। দেশের পক্ষে সুশৃঙ্খলভাবে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে মানববন্ধন করেন। আমরা হলাম বিপরীত। ডিমের শিকার এনসিপি নেতা আখতার হোসেন বলেছেন, এতে তিনি ভয় পাননি। যেমন ভয় পাননি শেখ হাসিনার বুলেট-বোমাকে। তাই তো!
ডিমে কিসের ভয়? আর আন্দোলন-সংগ্রামে ডিম বড় প্রাসঙ্গিক। ডিম ছুঁড়ে মারার পাশাপাশি ডিম থেরাপি বলে একটা বিষয়ও আছে। যা অনেক দেশে এখনো রোগ সারানোর পদ্ধতি হিসেবে প্রচলিত আছে— এটি ‘ডিম থেরাপি’ নামে পরিচিত। কিন্তু আজকাল আমাদের দেশে ডিম থেরাপি শব্দটির সাথে আমরা সকলেই পরিচিত। অনেকেই দাবি করেন যে, রি*মান্ডে নেওয়া আসামিদের কাছ থেকে অপরাধের তথ্য বের করার জন্য প্রশাসনের লোকেরা তাদের ডিম থেরাপি দিয়ে থাকেন। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদের সময় যদি এ থেরাপিতে কোন ব্যক্তি পড়ে তাহলে তারা অবশ্য তা ভালো করে জানেন।
ডিম ছোঁড়া দুনিয়া জোড়া চলে আসছে বহুকাল ধরে।
রাজনীতিতে এমন সংস্কৃতি এলো কোথা থেকে? দ্য গার্ডিয়ান, কনভারসেশন ও ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন ঘেটে জানা গেল, প্রতিবাদের মাধ্যম হিসেবে খাবার ছুঁড়ে মারার ইতিহাস বহু আগের। ৬৩ খ্রিষ্টাব্দে খাবারের অভাবের কারণে ‘হাডুরুমেটুম’য়ের অধিবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে মূলা ছুড়ে মেরেছিলেন আফ্রিকার তখনকার গভর্নর ভেসাপাসিয়ানকে। পরে তিনি রোমান সম্রাট হন। কথিত আছে, মধ্যযুগে বন্দীদের জড়ো করে শাস্তি হিসেবে তাদের ওপর ডিম মারা হতো। তবে লিখিতভাবে ডিম নিক্ষেপের কাহিনি পাওয়া যায় ১৮শ’ সালের দিকে। সেই সময় ইংল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ডের মাঝে অবস্থিত যুক্তরাজ্যের সাথে সম্পর্কিত স্বায়ত্বশাসিত দ্বীপাঞ্চল ‘আয়েল অফ ম্যান’য়ে মেথোডিস্ট’দের ওপর ডিম ছোঁড়া হয়। আর ১৮৩৪ সালে নিউ হ্যাম্পশায়ারের কনকোর্ডে মার্কিন কবি জর্জ হোয়াইটার দাসত্ববিরোধী বক্তৃতা দেওয়ার সময়, তাকে লক্ষ্য করে ডিম ছোড়া হয়। এছাড়াও ডিমের শিকার হয়েছিলেন হলিউড অভিনেতা আর্নল্ড শোয়ার্জনেগারও। ২০০৩ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় গভর্নর ভোটের প্রচারণা চালানো সময় তার দিকে ডিম ছোঁড়া হয়। অবশ্য তিনি সিনেমার নায়কের মতোই নির্বিকারভাবে হাত দিয়ে ঝেড়ে ফেলে দেন ভাঙ্গা ডিমের অংশ বিশেষ। ২০০৪ সালে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ফেডোরোভিচ ইয়ানুকোভিচকে বিরোধীদের ছোঁড়া ডিমে আঘাত পেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়। ২০১১ সালে আফগানি বিক্ষোভকারীরা জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে ইরানি কন্স্যুলেটদের দিকে ডিম ছোঁড়ার ঘটনা মুছে যায়নি। ২০২৩ সালে যুক্তরাজ্যে রাজা তৃতীয় চার্লসের ওপর ডিম ছোঁড়ায় অভিযুক্তকে আদালতে সাজা দেওয়া হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় ১৯১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী বিলি হিউজকে এক জনসভায় ডিম ছুঁড়ে আঘাত করা হয়েছিল। ব্রিটেনে ২০০১ সালে উপ-প্রধানমন্ত্রী জন প্রেসকটকে একজন তরুণ কৃষক ডিম ছুঁড়লে প্রেসকট নিজেই ঘুষি মেরে প্রতিক্রিয়া দেখান। মুহূর্তটির ছবি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ১৭ বছর বয়সী উইল কনলি, যিনি ‘এগ বয়’ নামে পরিচিত, বিতর্কিত বক্তব্য দেওয়া সেনেটর ফ্রেইজার এনিংয়ের মাথায় ডিম ছোঁড়েন। ওই ভিডিও মুহূর্তেই ভাইরাল হয়। কনলির প্রতি অনেকেই সমর্থন প্রকাশ করে, এমনকি অনুদানও তোলা হয়। ডিম ছোঁড়ার পেছনে রয়েছে আরো দীর্ঘ ইতিহাস। কথিত আছে, মধ্যযুগে বন্দীদের জড়ো করে শাস্তি হিসেবে তাদের ওপর ডিম নিক্ষেপ করা হত। তবে লিখিতভাবে ডিম নিক্ষেপের কাহিনি পাওয়া যায় ১৮শ’ সালের দিকে।সেই সময় ইংল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ডের মাঝে অবস্থিত যুক্তরাজ্যের সাথে সম্পর্কিত স্বায়ত্বশাসিত দ্বীপাঞ্চল ‘আয়েল অফ ম্যান’য়ে মেথোডিস্ট’দের ওপর ডিম নিক্ষেপ করা হয়েছে। আর ১৮৩৪ সালে নিউ হ্যাম্পশায়ার’য়ের কনকোর্ড’য়ে মার্কিন কবি জর্জ হোয়াইটার দাসত্ব বিরোধী বক্তৃতা দেওয়ার সময়, তাকে লক্ষ্য করে ডিম ছোঁড়া হয়। অস্ট্রেলিয়ায় ১৯১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী বিলি হিউজকে এক জনসভায় ডিম ছুঁড়ে আঘাত করা হয়েছিল। দেশজুড়ে কনস্যক্রিপশন বিরোধী আন্দোলনের উত্তাপেই সেই ঘটনা ঘটে, যা পরে রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিতর্ককে ঘনীভূত করে। ২০১৩ সালে লন্ডনে একদল বিক্ষোভকারী, প্রয়াত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের কফিন ডিম দিয়ে পরিপূর্ণ করার হুমকি দেয়। যদিও অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়াতে চরম নিরাপত্তার কারণে সেটা তারা করতে পারেনি। একই বছর অগাস্টে ডিমের দাম কমের যাওয়ার প্রতিবাদের অংশ হিসেবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বিরূদ্ধে ফরাসি কৃষকরা রাস্তায় সপ্তাহ জুড়ে প্রতিদিন ১ লাখ ডিম ভাঙার শপথ নিয়েছিল। শপথ অনুযায়ি সেই শপথ বাস্তবায়ন চলে কয়েকদিন।
যাক হোক,বিশ্বে ইউরোপসহ আরও অনেক দেশে এ-ই “ডিম ছোঁড়া” আছে বলে তা চলতেই থাকবে?
বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ বিচারাধীন বেশ কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী-নেতাদের বহনকারী প্রিজন ভ্যানে কিছুদিন আগে ডিম ছুড়ে মারেন বিভিন্ন আইনজীবী সদস্যরা।
খাবার ছুড়ে মারাকে সাধারণত অহিংস প্রতিবাদ হিসেবে দেখা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের এনসিপি নেতাকে ডিম ছোঁড়ার ঘটনায় যুবলীগের এক কর্মীকে জ্যাকসন হাইটস থেকে পাকড়াও করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। জামিনে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে। শাস্তি কী হতে পারে তার? হয়তো শেষতক গুরুতর কিছু হবে না। কিন্তু, এ খাদ্য পন্য ডিমকে এভাবে ক্ষোভ প্রকাশের পণ্য না করে কমদামি কোনো আইটেম কি বের করা যায় না? প্রশ্ন থাকলেও আজতক এর বিকল্প আবিস্কার হয়নি। খাবার ছুড়ে মারাকে সাধারণত অহিংস প্রতিবাদ হিসেবে দেখা হয়।
কাণ্ডকীর্তি হিসেবে হালকা হলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনে ডিম ছোড়া অপরাধ। সেখানে কোনো ব্যক্তিকে যেকোনো বস্তু দিয়ে আঘাত করা অপরাধ। বিচারের ক্ষেত্রে দেখা হয়, ঘটনাটি মজার ছলে করা হয়েছে না বা ঘটনাটি কারও প্রতি ঘৃণা থেকে করা হয়েছে? অথবা বড় কোনো খারাপ উদ্দেশ্যে ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে কি না? অভিযুক্ত ব্যক্তির মূল উদ্দেশ্য কী ছিল, সেটি পুলিশের তদন্তে প্রমাণিত হতে হয়। আখতার হোসেনকে ডিম ছোঁড়া যুবলীগ কর্মীকে পুলিশ আটক করেছে বিএনপির এক কর্মীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে। বিএনপি কর্মী পুলিশকে বলেছিলেন, সে তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করতে চেয়েছিলেন।
জেএফকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আখতারের ওপর ডিম নিক্ষেপের ঘটনাটি কোনো হালকা ঘটনা নয়। এটি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ফৌজদারি আইন অনুযায়ী অপরাধ। এ ধরনের অপরাধের জন্য জেলও হতে পারে, শারীরিক আঘাত হলে শাস্তি আরও কঠিন হয়। জাতিসংঘের কনভেনশন অন দ্য প্রিভেনশন অ্যান্ড পানিশমেন্ট অব ক্রাইমস অ্যাগেইনস্ট ইন্টারন্যাশনালি প্রোটেক্টেড পারসনস, ইনক্লুডিং ডিপ্লোমেটিক এজেন্টস, ১৯৭৩ অনুযায়ী, কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে আন্তর্জাতিকভাবে সুরক্ষিত কোনো ব্যক্তির ওপর আক্রমণ চালালে, হুমকি দিলে হামলায় সহযোগিতা বা অংশ নিলে প্রতিটি দেশকে তাদের নিজস্ব আইনে একে অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে হবে। বাস্তবে নিউইয়র্কে এ অপরাধটা গুরুতর নয়। সাধারণত এসব অপরাধে প্রবেশনমূলক শাস্তি হয়ে থাকে এবং মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। অঙ্গীকার নেওয়া হয় যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এ ধরনের অপরাধ আর করবেন না। যুবলীগ নেতা তা-ই করেছেন। এছাড়া, মৌখিকভাবে যা-ই বলা হোক, তাঁকে অপরাধ হিসেবে প্রমাণ করা যুক্তরাষ্ট্রের আইনে কঠিন। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। সে সেই সুযোগটাই নিয়েছেন।
যাই হোক,ডিমের দামের হিসাব দিয়ে শেষ করা যাক। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এক ডজন ডিমের দাম ছিল ৮ দশমিক ৫০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১ হাজার ৩৪ টাকা। সে হিসাবে প্রতিটি ডিমের দাম পড়ে প্রায় ৮৬ টাকা। আর বাংলাদেশে মানুষের ক্ষোভ প্রকাশের মাধ্যম হয়ে যাওয়া এই ডিম এখন সাড়ে ১২ টাকা মূল্যে কিনতে হয়। এটি আমাদের রাজনৈতিক ক্ষতের গভীরতা প্রকাশ করছে।
……….
লেখক ঃ সাংবাদিক ও কলামিস্ট
rintu108@gmail.com