মুগদা জেনারেল হাসপাতালের ১০ম ও ৮ম তলায় সম্প্রতি ডেঙ্গু ওয়ার্ড স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে ৩৪ জন ভর্তি আছেন। এ হাসপাতালের আরও ৩টি ফ্লোর ডেঙ্গু রোগীদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকায় যতগুলো সরকারি হাসপাতাল আছে এসবের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী মুগদায়। কারণ এ হাসপাতালের আশপাশের মানুষজনই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন সবচেয়ে বেশি।
সোমবার হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৩৪ জন রোগী। তাদের মধ্যে পূর্ণবয়স্ক ২৫ জন, শিশু ৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে।
গত জানুয়ারি থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত ১ হাজার ৩৪০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। চলতি বছর ডেঙ্গু রোগীদের মধ্যে সাতজন মারা গেছেন। প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ১০ মাসের শিশু আরাফকে নিয়ে ডেঙ্গু ওয়ার্ডে আছেন তার মা-বাবা। হাসপাতালে ৫ দিন ধরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। কুমিল্লা থেকে লিমা (২৬) নামের একজন ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে শনিবার হাসপাতালে আসেন। পুরুষ ওয়ার্ডে মুরাদ চক্রবর্তী কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে এসেছেন। তিনি চার দিন ধরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এখন অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
হাসপাতালের পুরুষ ডেঙ্গু ওয়ার্ডে রোগীর নির্ধারিত শয্যা ১০০টি। মহিলা ডেঙ্গু ওয়ার্ডে শয্যা রয়েছে ৯০টি।
মুগদা জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গুর হটস্পট শনিরআখড়া থেকে শুরু হয়ে বাড্ডা-বসুন্ধরা হয়ে মতিঝিল থেকে পুরান ঢাকা পর্যন্ত আমাকে ঘিরে রেখেছে। মানুষ অসুস্থ হলে চায় তার নিকটস্থ হাসপাতালে যেতে। আর মুগদা হাসপাতালে সে কারণেই চাপ বেশি।
তিনি বলেন, যে রোগী ঝুঁকিপূর্ণ তাকে কোনোভাবে ছাড়া যাবে না। তবে যে রোগীরা ঝুঁকিপূর্ণ নয় তারাও অনেক সময় ভয়ের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হতে চান।
ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা নার্স ফজিলাতুননেসা বলেন, ডেঙ্গু ওয়ার্ড কখনই খালি হয়নি। যেসব রোগীরা ভর্তি হন তাদের অবস্থা বেশি খারাপ থাকে। বেশিরভাগই ঢাকার বাহির থেকে আসেন।