শিরোনামঃ
সেই প্রাইভেট কারের ধাক্কায় আহত চার নারীর একজনের মৃত্যু গাজায় বোমা বর্ষন বাড়িয়েছে ইসরায়েল, প্রাণ নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ফিলিস্তিনিরা সাবেক সার্জেন্ট মেজরের স্বীকারোক্তি: তার যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে এক নারী সেনা আত্মহত্যা করেছিলেন চার্লি কার্কের স্ত্রীর আবেগঘন বার্তা: ‘আমি তোমার আদর্শকে কখনো মরতে দেব না’ আবু ধাবির নতুন ওয়েভ পুলে বিলাসিতার দৌড় : প্রত্যেক ঢেউতে $১৫০ পাল্টা শুল্ক নিয়ে আলোচনা: আজ ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল এক নজরে “লালনকন্যা” ফরিদা পারভীনের বর্ণাঢ্য জীবন ফরিদা পারভীনের মৃত্যুতে সংস্কৃতি উপদেষ্টার শোক বরেণ্য লোকসংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় রাজনীতি অবসানের অঙ্গীকার নবনির্বাচিত জাকসু ভিপির
রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:১৬ পূর্বাহ্ন

গাজায় রক্তের জন্য হাহাকার

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৩১ বার
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫

ইসরায়েলি হামলা ও অব্যাহত অবরোধের কারণে গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে ধসে পড়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ত্রাণ কেন্দ্রে অপেক্ষমাণ ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলায় আরও অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৭২ জন। এ ছাড়া গাজা শহরের কাছে ইসরায়েলি গোলাবর্ষণে আরও তিনজন নিহত হয়েছেন।

জাতিসংঘের মানবিকবিষয়ক সমন্বয় অফিস (ওসিএইচএ) জানিয়েছে, আহত মানুষের সংখ্যা বাড়ায় দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের মা ও শিশু ওয়ার্ড খালি করে সেটিকে জরুরি অপারেশন থিয়েটারে রূপান্তর করতে হয়েছে। এখানে আসা আহতদের অনেকেই স্থানীয় ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে খাদ্য সহায়তা আনতে গিয়ে ইসরায়েলি হামলার শিকার হন।

ওসিএইচএ জানিয়েছে, জীবন বাঁচাতে অনেক ক্ষেত্রেই আহতদের হাত-পায়ের মতো অঙ্গ কেটে ফেলতে হয়েছে চিকিৎসকদের। প্রচণ্ড সংকটের মধ্যে চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ওষুধের ঘাটতি এই সংকটকে আরও তীব্র করে তুলছে। সংস্থাটি জানায়, প্রতিদিনই গাজা উপত্যকার বহু রোগী রক্ত সংস্থানের জন্য হাহাকার করছেন। কিন্তু রক্তের মজুত এতই কম, চাহিদা মেটানো যাচ্ছে না।

 

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, জরুরি সেবাদানকারীদের খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে গাজায়। এই সংকট এতই তীব্র, ক্ষুধায় অজ্ঞান হয়ে পড়ছেন অনেকেই। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বুধবার পর্যন্ত ইসরায়েলি আগ্রাসনে মোট ৫৫ হাজার ৭০৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ৩০ হাজার ১০১ জন। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৬৯ জন নিহত ও ২২১ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে তারা।

এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আবারও সতর্ক করে বলেছে, হাসপাতালগুলোর কাছে মজুত থাকা জ্বালানিতে সর্বোচ্চ তিন দিন চলবে। আন্তর্জাতিক ও জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে হাসপাতালের জ্বালানি মজুতের স্থানে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না ইসরায়েলি বাহিনী। তারা বলছে, ওই এলাকাগুলো ‘রেড জোন’ বা সামরিক অভিযান চলমান এলাকা। এতে জ্বালানির অভাবে হাসপাতালগুলো সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে। কারণ, বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় হাসপাতালগুলোর সব গুরুত্বপূর্ণ বিভাগই জেনারেটরের ওপর নির্ভরশীল।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, আগ্রাসন শুরুর আগে গাজায় ৩৮টি হাসপাতাল থাকলেও এখন মাত্র ১৬টি হাসপাতাল আংশিকভাবে চালু রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি সরকারি ও ১১টি বেসরকারি। এর বাইরে জরুরি সেবা দিতে সক্ষম আটটি ফিল্ড হাসপাতাল এখনও চলছে।


এ জাতীয় আরো খবর...