আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) তাদের ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি ছাড়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ জানতে চেয়েছিল। বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
গত সোমবার (২৩ জুন) আইএমএফের নির্বাহী বোর্ড ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি মিলিয়ে ১৩৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার ছাড় করার অনুমোদন দেয়। ৪৭০ কোটি ডলারের এই ঋণ কর্মসূচির দুই কিস্তির টাকা বেশ কিছু দিন ধরে আটকে ছিল শর্তপূরণ না হওয়ার কারণে। সর্বশেষ ২০২৪ সালের জুনে তৃতীয় কিস্তিতে ১১৫ কোটি ডলার ছাড় করে সংস্থাটি। ওই তিন কিস্তিতে ২৩১ কোটি ডলার বাংলাদেশের হাতে এসেছিল। পরবর্তী চতুর্থ কিস্তি আসার কথা ছিল ডিসেম্বরে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের পতন পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাকি কিস্তি আটকে থাকে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচনের একটা সময় প্রকাশ পাওয়ায় আইএমএফসহ সবাই সন্তুষ্ট হয়েছে। আইএমএফ আমাকে প্রশ্ন করেছিল যে, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে কি হবে না। ওরা চিন্তা করছে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে কী হবে না। আমরা তো বলেছি হবে।
সালেহউদ্দিন আরও বলেন, ‘রিসেন্টলি ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, এডিবি, এএফডি, এআইআইবি লোন অ্যাপ্রুভ করেছে। মোটামুটি বাংলাদেশে সংস্কার কাজের প্রোগ্রেস দেখে সবাই সন্তুষ্ট।’