গ্রীষ্মের তাপদাহে পুড়ছে দুবাই শহর, আর সেই উত্তাপের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে স্বর্ণের দামও। তবে দাম বাড়লেও থেমে নেই ক্রেতাদের আশা।, কারণ স্বর্ণের দোকানগুলোতেও বইছে অফারের ঝড়। একদিকে দাম বেড়ে ক্রেতাদের ভাবনায় ফেলে দিচ্ছে, অন্যদিকে চোখ ধাঁধানো ছাড়, এক্সচেঞ্জ স্কিম আর ডিএসএস র্যাফেল অফার ফের দিচ্ছে স্বর্ণের বাজারে প্রাণ।
দুবাইয়ে স্বর্ণের বাজার আবারও উত্তপ্ত। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকালে প্রতি গ্রাম ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ৩ দিরহাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭২.৭৫ দিরহামে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ঘিরে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দেয়ায় বৈশ্বিক বাজারে এর প্রভাব পড়ছে।
এদিকে, ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধবিরতির পর অনেকে স্বর্ণের দামে বড় ধসের আশা করলেও, এখন পর্যন্ত তেমন কোনো পতন দেখা যাচ্ছে না। বরং, দাম রয়েছে ৩৬৮ থেকে ৩৭৩ দিরহামের মধ্যে, যা এখনো ক্রেতাদের জন্য সহনীয় বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
স্বর্ণের খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, দাম এখনো ৩৭৫ দিরহামের নিচে থাকায় বাজারে ক্রেতা ফিরিয়ে আনার সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে দুবাই সামার সারপ্রাইজ (ডিএসএস) উপলক্ষে শুরু হতে যাওয়া র্যাফেল ও ছাড় অফার নিয়ে আশাবাদী তারা।
এক বিক্রেতা বলেন, ‘স্বর্ণের দাম যদি ৩৭৫ দিরহাম ছাড়িয়ে যেত, তাহলে অনেকেই পিছিয়ে যেতেন। এখনো সময় আছে ক্রেতাদের আগ্রহ ফেরানোর।’
গ্রীষ্মকালীন বিক্রির মৌসুমে স্বর্ণের দোকানগুলো এক্সচেঞ্জ অফার ও জিরো ডিডাকশন স্কিম চালু করেছে। অনেক প্রতিষ্ঠান পুরোনো গয়না দিয়ে নতুন গয়না নেয়ার ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ এক্সচেঞ্জ ভ্যালু দিচ্ছে।