রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:৩৭ অপরাহ্ন

সংঘাতের পর ইরানে ধরপাকড় আর মৃত্যুদণ্ডের ঢেউ

নিজস্ব প্রতিবেদক / ২৭ বার
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৭ জুন, ২০২৫

ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সাম্প্রতিক যুদ্ধের পর ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে ব্যাপক হারে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি একাধিক মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে তেহরান।

ইরানি কর্মকর্তাদের ভাষ্য, ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীতে ইসরায়েলি এজেন্টদের অনুপ্রবেশ ‘নজিরবিহীন’ পর্যায়ে পৌঁছেছিল।

কর্তৃপক্ষের সন্দেহ, ইসরায়েলকে সরবরাহ করা তথ্যে একাধিক উচ্চপর্যায়ের হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর শীর্ষ কমান্ডার এবং পরমাণু বিজ্ঞানীদের নিশানা করে হত্যা। ইরান দাবি করছে, দেশের ভেতরে সক্রিয় ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদস্যরা এসব হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

নিখুঁত পরিকল্পনা করে ইসরায়েল যেভাবে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা আর বিজ্ঞানীদের হত্যা করেছে, তাতে হতবাক ইরানি কর্তৃপক্ষ এখন বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে কাজ করার সন্দেহভাজনদের নিশানা করছে। কারণ হিসেবে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থের কথা বলা হচ্ছে।

তবে অনেকের আশঙ্কা, এটি বিরোধী কণ্ঠ দমন ও জনগণের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরও শক্ত করার একটি উপায়।

১২ দিনের এই সংঘাতের সময় ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ইরান তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। যুদ্ধবিরতির একদিন পর বুধবার আরও তিনজনকে একই অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

এরই মধ্যে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে দেশজুড়ে শতাধিক সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বেশ কয়েকজন গ্রেপ্তারের কথিত স্বীকারোক্তি প্রচার করা হয়েছে, যেখানে তারা ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে কাজ কথা বলেছেন বলে দাবি করা হচ্ছে।

মানবাধিকার সংস্থা ও কর্মীরা ইরানের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের ভাষ্য, ইরান দীর্ঘদিন ধরে ‘জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায়’ এবং ‘অন্যায্য বিচার প্রক্রিয়া’ চালিয়ে আসছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আরও বেশি সংখ্যক মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, তারা সিআইএ, মোসাদ ও এমআই৬-সহ পশ্চিমা ও ইসরায়েলি গোয়েন্দা নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে ‘অবিরাম যুদ্ধ’ চালিয়ে যাচ্ছে।


এ জাতীয় আরো খবর...