যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ফোনালাপে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) এই আলোচনার বিষয়ে এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, ‘দুই নেতা ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় একসঙ্গে কাজ করার গুরুত্ব স্বীকার করেছেন।’
বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের আলোচনায় পাকিস্তানের অংশগ্রহণ ইঙ্গিত দেয়, কেবল দক্ষিণ এশিয়াই নয়, গোটা মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতেও ইসলামাবাদ ক্রমেই সক্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে।
গত সপ্তাহেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মন্তব্য করেন, ‘ইরানকে অন্য অনেক দেশের তুলনায় পাকিস্তান ভালো জানে।’ এই বক্তব্যের পরপরই পাকিস্তানের সঙ্গে শান্তি প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হলো। খবর মিডল ইস্ট আইয়ের।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র দেশ হিসেবে পরমাণু অস্ত্রধারী বলে বিশ্বাস করা হয়। দেশটির দাবি, ইরানের বিরুদ্ধে তাদের সামরিক অভিযান তেহরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত রাখার লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের ইরানবিরোধী হামলার কড়া নিন্দা করেছে পাকিস্তান। তবে একই সময়ে ইসলামাবাদ জানিয়েছে, গত মাসে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চারদিনের সীমান্ত সংঘর্ষ বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিতে চায় তারা।
সব মিলিয়ে, দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র পাকিস্তান এখন মধ্যপ্রাচ্যেও শান্তি উদ্যোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী হয়ে উঠছে।