রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৬ অপরাহ্ন

গ্রিনল্যান্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের অভিযোগে ক্ষুব্ধ ডেনমার্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক / ১৫ বার
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৫

ডেনমার্ক সরকার যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ’অফেয়ার্সকে ডেকে পাঠিয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র—বিশেষ করে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ব্যক্তির মাধ্যমে—গ্রিনল্যান্ডের রাজনৈতিক অবস্থান ও স্বায়ত্তশাসনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে।

ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেট ফ্রেডেরিকসেন এ বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়ে বলেন,

“আমরা গ্রিনল্যান্ডকে ডেনমার্কের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে দেখি। বাইরের কোনো শক্তির হস্তক্ষেপ এখানে সহ্য করা হবে না।”

গ্রিনল্যান্ড কেন গুরুত্বপূর্ণ?

গ্রিনল্যান্ড বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ এবং বরফে ঢাকা অঞ্চল হলেও এটি কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ

  • উত্তর মেরুর কাছাকাছি অবস্থানের কারণে এর ভৌগোলিক গুরুত্ব বিশেষভাবে বিবেচিত হয়।

  • দ্বীপটির ভেতরে থাকা বিরল খনিজ ও প্রাকৃতিক সম্পদ বহুদিন ধরে পশ্চিমা ও বৈশ্বিক শক্তিগুলোর নজরে রয়েছে।

  • যুক্তরাষ্ট্র পূর্বে একাধিকবার গ্রিনল্যান্ডকে কিনতে বা সামরিক ঘাঁটি বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

ইউরোপীয় নেতাদের সতর্কবার্তা

একই সময়ে ইউরোপের বড় নেতারা—জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড তুস্ক—মোলডোভার স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে যোগ দেন।
তারা রাশিয়ার সম্ভাব্য রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও প্রভাব বিস্তারের বিষয়ে সতর্ক করে বলেন, ইউরোপের সীমান্তবর্তী দেশগুলোকে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আরও শক্তভাবে দাঁড়াতে হবে।

প্রেক্ষাপট

  • ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৯ সালে প্রকাশ্যে গ্রিনল্যান্ড কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন, যা সে সময়ও তীব্র সমালোচনার জন্ম দেয়।

  • সাম্প্রতিক গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হচ্ছে, মার্কিন রাজনীতির প্রভাবশালী একটি অংশ এখনও এই অঞ্চলে প্রভাব খাটাতে চায়।

  • ডেনমার্ক মনে করছে, এ ধরনের তৎপরতা শুধু তাদের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত নয়, বরং ইউরোপীয় নিরাপত্তার জন্যও হুমকি।


এ জাতীয় আরো খবর...