একদিকে কাতারে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য আলোচনা শুরু হয়েছে। অন্যদিকে গাজা জুড়ে চলছে ইসরায়েলি আগ্রাসন, চলছে নতুন হামলা। এই হামলায় কমপক্ষে ৮২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
রবিবার শুধু গাজা সিটিতেই কমপক্ষে ৩৯ জন নিহত হয়েছে। এই অঞ্চলের শেখ রাদওয়ান পাড়ায় মধ্যরাতে হামলায় ক্ষতিগ্রস্তরা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েন।
একটি হামলায় বেঁচে যাওয়া মাহমুদ আল-শেখ সালামা বলেছেন, রাত ২টায় তিনি ঘুমাচ্ছিলেন। এসময় শুরু হয় হামলা।
তিনি আল জাজিরাকে বলেন, আমরা একটি বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেলাম এবং কিছুক্ষণ পরেই আরেকটি বিস্ফোরণ ঘটে। আমরা ছুটে গেলাম… এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে মানুষ আটকা পড়ে। চারটি পরিবার, অনেক বাসিন্দা আটকা পড়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শনিবার (৫ জুলাই) এক পরিসংখ্যানে জানায়, উপত্যকায় ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত ত্রাণ উদ্যোগ গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) কেন্দ্রগুলো থেকে খাবার সংগ্রহ করার সময় কমপক্ষে ৭৪৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৪ হাজার ৮৯১ জন।
ট্রাম্প প্রশাসন গত জুনের শেষ দিকে জিএইচএফকে ৩০ মিলিয়ন ডলার সরাসরি অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দেয়। তবে অভিযোগ আছে, ইসরায়েলি বাহিনী জিএইচএফ কেন্দ্রগুলোর আশপাশের স্থানে খাবারের জন্য অপেক্ষারত ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে প্রতিনিয়ত হামলা চালাচ্ছে।
এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার সমালোচনা থাকলেও মার্কিন প্রশাসনের দাবি, জিএইচএফ একমাত্র সংগঠন যারা গাজা উপত্যকায় খাদ্য ও ত্রাণ সরবরাহ করতে পেরেছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপর থেকেই গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে দখলদার সেনারা।