নেপালে বড় রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে দেশটির পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সুশীলা কার্কির শপথ গ্রহণের কয়েক ঘণ্টা পরই প্রতিনিধি পরিষদ ভেঙে দিয়ে আগামী বছরের মার্চে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়।
এনডি টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শপথ নেওয়ার পরই কার্কি তার প্রথম সিদ্ধান্ত হিসেবে পার্লামেন্ট ভাঙার সুপারিশ করেন। এর মধ্য দিয়ে তার নেতৃত্বে একটি ছোট মন্ত্রিসভার সরকার গঠিত হয়, যার মেয়াদ থাকবে ছয় মাস। এই সময়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নতুন নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পাওডেলের দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেল ও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনার পর কার্কির নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়। তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বে দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়েই কার্কিকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রীর পদে প্রস্তাব করা হয়েছিল।
গত এক সপ্তাহের সহিংস বিক্ষোভে অন্তত ৫১ জন নিহত এবং ১ হাজার ৩০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা এই দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনকে স্থানীয়ভাবে ‘জেন জি আন্দোলন’ বলা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত থেকেই এই বিক্ষোভের সূত্রপাত। যদিও পরবর্তীতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়, সহিংসতা থামে সাবেক প্রধানমন্ত্রী কে.পি. শর্মা ওলির পদত্যাগের পর।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, সুশীলা কার্কি এর আগে ২০১৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত নেপালের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সততা, দুর্নীতিবিরোধী অবস্থান ও দৃঢ় নেতৃত্বের জন্য তিনি পরিচিত। এবারও দুর্নীতিবিরোধী অবস্থান ও গণআন্দোলনের প্রতি সমর্থনই তাকে দেশের নেতৃত্বে নিয়ে এসেছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।