মার্কিন সিনেটর অ্যামি ক্লোবুশার এক অদ্ভুত কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছেন। সম্প্রতি একটি ডিপফেক ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে তাকে অভিনেত্রী সিডনি সুইনির জিন্স বিজ্ঞাপন নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতে দেখা যায়। ভিডিওটি এতটাই বাস্তবসম্মত ছিল যে অনেকেই প্রথমে ভেবে বসেন এটি সত্যিই ক্লোবুশারের বক্তব্য।
সিনেটর অবশ্য দ্রুতই স্পষ্ট করেছেন—এই ভিডিও সম্পূর্ণ ভুয়া। এটি তার অফিসিয়াল কোনো বক্তব্য নয়, বরং সিনেট শুনানির ফুটেজ কেটে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো একটি ডিপফেক। তবুও ভিডিওটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং বিভ্রান্তি তৈরি করে।
TikTok ও Meta ভিডিওটি চিহ্নিত করে নামিয়ে দিয়েছে বা এআই লেবেল দিয়েছে। তবে X (পূর্বে টুইটার) সরাসরি পদক্ষেপ না নিয়ে শুধু কমিউনিটি নোট যোগ করার সুযোগ দিয়েছে। ফলে বিতর্ক আরও বাড়ে।
এই ঘটনার পর ক্লোবুশার নতুন একটি আইন প্রস্তাব করেছেন—“No Fakes Act”। এর মাধ্যমে যেকোনো ব্যক্তি নিজের কণ্ঠস্বর বা চেহারা ব্যবহার করে তৈরি হওয়া এআই ডিপফেক কনটেন্ট মুছে ফেলার দাবি করতে পারবেন। তিনি বলেন, “যেহেতু ডিপফেক এতটা বিশ্বাসযোগ্যভাবে ছড়াতে পারে, তাই মানুষের সম্মান ও নিরাপত্তা রক্ষায় শক্তিশালী আইনি কাঠামো দরকার।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি শুধু একজন রাজনীতিক বা সেলিব্রেটির সমস্যা নয়; ভবিষ্যতে সাধারণ মানুষও এমন ভুয়া ভিডিওর শিকার হতে পারেন। আর তাই ডিপফেক মোকাবিলা করা এখন সময়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর একটি।