জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে সম্প্রতি একটি প্রস্তাব বিপুল ভোটে পাস হয়েছে, যা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থনকে পুনরায় নিশ্চিত করেছে। শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে ১৪২টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়, বিপক্ষে মাত্র ১০টি এবং বিরত থাকে ১২টি দেশ। প্রস্তাবটি উত্থাপন করে ফ্রান্স ও সৌদি আরব। এই প্রস্তাবের মূল বিষয় হলো, দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের ওপর জোর দেওয়া এবং একই সঙ্গে হামাসকে ক্ষমতা ও অস্ত্র ত্যাগ করে গাজার শাসনভার ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের (পিএ) কাছে হস্তান্তরের আহ্বান জানানো।
প্রস্তাবের মূল বিষয়বস্তু:
ইসরায়েল এই প্রস্তাবকে ‘লজ্জাজনক’ বলে মন্তব্য করেছে। তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওরেন মারমোর্সটেইন বলেন, সাধারণ পরিষদ ‘বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন এক রাজনৈতিক সার্কাসে পরিণত হয়েছে’। অন্যদিকে, ফিলিস্তিনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হুসেইন আল-শেখ এই আন্তর্জাতিক সমর্থনকে স্বাগত জানিয়েছেন।
প্রস্তাবটি এমন এক সময়ে পাস হলো যখন গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান চলছে। পাশাপাশি, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পশ্চিম তীরে নতুন করে ৩,৪০০ অবৈধ বসতি নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। এই পদক্ষেপ পশ্চিম তীরকে কার্যত দ্বিখণ্ডিত করবে এবং ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পথকে আরও কঠিন করে তুলবে।
নেতানিয়াহু এক চুক্তিতে সই করার পর বলেন, “কোনো ফিলিস্তিন রাষ্ট্র থাকবে না—এই প্রতিশ্রুতি আমরা পূরণ করতে যাচ্ছি।”
নেতানিয়াহুর এই অবস্থান আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনেহ সতর্ক করে বলেছেন, নেতানিয়াহুর এই পদক্ষেপ পুরো অঞ্চলকে ‘নরকের পথে ঠেলে দিচ্ছে’। একই সাথে তিনি সেই সব দেশগুলোকে দ্রুত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানান, যারা এখনো তা করেনি। তিনি জোর দিয়ে বলেন, পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য অপরিহার্য।