দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র সবসময় ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় মিত্র ও সহায়তার উৎস। বছরে বিলিয়ন ডলারের সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা দিয়ে ওয়াশিংটন তেলআবিবকে শক্তিশালী অবস্থানে রেখেছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো—যদি হঠাৎ একদিন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন বন্ধ করে দেয়, তখন কী ঘটতে পারে?
১. সামরিক দুর্বলতা:
ইসরায়েল তার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য ব্যাপকভাবে মার্কিন সহায়তার উপর নির্ভরশীল। “আয়রন ডোম” থেকে শুরু করে অত্যাধুনিক ফাইটার জেট—সবই যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ ও প্রযুক্তির সহায়তায় পরিচালিত। সমর্থন বন্ধ হলে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় বড় ধাক্কা আসবে।
২. অর্থনৈতিক চাপ:
মার্কিন সহায়তা ইসরায়েলের বার্ষিক বাজেটের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ। হঠাৎ তা বন্ধ হলে অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে সংকট দেখা দিতে পারে, বিশেষত প্রতিরক্ষা খাতে।
৩. মধ্যপ্রাচ্যের শক্তির ভারসাম্য:
যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ছাড়া ইসরায়েলের আঞ্চলিক আধিপত্য নড়বড়ে হয়ে পড়বে। ফিলিস্তিন, ইরান, লেবাননের হিজবুল্লাহসহ অন্যান্য শক্তি নতুন কৌশল গ্রহণ করতে পারে।
৪. কূটনৈতিক পরিবর্তন:
মার্কিন প্রভাব কমে গেলে ইসরায়েল হয়তো ইউরোপ, রাশিয়া কিংবা চীনের দিকে ঝুঁকতে পারে। এতে বৈশ্বিক কূটনীতিতে নতুন জোট তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
৫. ফিলিস্তিন প্রশ্নে নতুন মোড়:
সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হতে পারে ফিলিস্তিন ইস্যুতে। যুক্তরাষ্ট্রের চাপ না থাকলে ইসরায়েলকে আলোচনায় বসতে হতে পারে। ফিলিস্তিনিদের জন্য এটি হতে পারে বড় সুযোগ।
যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ছাড়া ইসরায়েলকে টিকে থাকার কৌশল পাল্টাতে হবে। এটি শুধু ইসরায়েল নয়, পুরো মধ্যপ্রাচ্যের জন্য একটি ভূমিকম্পসদৃশ পরিবর্তন ডেকে আনবে। তবে বাস্তবে যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া অত্যন্ত অসম্ভব, কারণ ইসরায়েল মার্কিন কৌশলগত স্বার্থের একটি মূল অংশ।